Wednesday, November 3, 2010

জমজমাট ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা

জমজমাট ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা নাজমুল আলম শিশির
দারিদ্র্য বিমোচনের নামে বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা এখন জমজমাট। গত কয়েক বছর দেশের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঋণগ্রহীতার সংখ্যাও। বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয় বলে জানান অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১০ অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকসহ বৃহৎ ২১টি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে বর্তমানে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতার সংখ্যা দুই কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার। আর পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৮৪ লাখ ১৬ হাজার জন। আর সরকার পরিচালিত চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীর সংখ্যা এক কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৪ জন। অন্যান্য বাণিজ্যিক এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহকের সংখ্যা ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৭ জন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতা আছেন আরো কয়েক লাখ।
পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, শুরুতে ক্ষুদ্রঋণের যে উদ্দেশ্য ছিল তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন সময় এসেছে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্রঋণের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আসার। একদিকে যেমন বাড়ছে ঋণগ্রহীতার সংখা তেমনিভাবে বাড়ছে ঋণ বিতরণের পরিমাণ। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় থেকে দেখা যায়, কেবল পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) তার ২৫৭টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ২০১০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সাত হাজার সাত কোটি ৪৩ লাখ টাকা ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করেছে। এ ছাড়া পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩৭৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। গ্রামীণ ব্যাংকসহ দেশের বৃহৎ ২১টি বেসরকারি সংস্থাসমূহ (এনজিও) ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ৭৩ হাজার ২৩২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৭০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। 'ব্র্যাক' ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৭০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, 'আশা' ৩৪ হাজার ২৫১ কোটি, 'প্রশিকা' চার হাজার ৩২৫ কোটি, 'শক্তি ফাউন্ডেশন' এক হাজার ৫৬৯ কোটি ৯৮ লাখ, 'টিএমএসএস' তিন হাজার ৪৬৩ কোটি ২২ লাখ, 'সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিসেস (এসএসএস)' দুই হাজার ১০০ কোটি ৪২ লাখ, 'স্বনির্ভর বাংলাদেশ' ৮৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ক্ষুদ্রঋণে সুদের হার অনেক বেশি। এই উচ্চ সুদহার কমানোর ওপর জোর দিতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি, কুটির শিল্প এবং বিদেশে শ্রমবাজারে প্রবেশসহ নতুন নতুন বিষয়ের উন্নয়নে নজর দিতে হবে।

http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Study&pub_no=331&cat_id=1&menu_id=24&news_type_id=1&index=1

1 comment:

Ali Pran said...

পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন.. পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন ... কত সুন্দর সুন্দর নাম...

এদের দ্বারা পল্লীর কোন ধরণের উন্নয়নতো হয়ই না, উল্টা ক্ষতি হচ্ছে!